Thursday 28 February 2019

অফ পেইজ অপটিমাইজেশন – Off Page SEO

অফ পেইজ অপটিমাইজেশন – Off Page SEO

অফ পেইজ অপটিমাইজেশনঃ

অফ পেইজ অপটিমাইজেশন  এর  কাজ গুলো কোন সাইট এর  রেপুটেশন বাড়ানোর জন্যে  করা হয়। এই কাজের  জন্যে  বেশ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার  করা হয় ।অফ পেইজ অপটিমাইজেশন এর  সকল কাজ সব সময় সকল ভাবে  ইফেক্টিভ  হয় না। আবার  গুগল কিছু দিন পর  পর  তাদের  এলগরিদম পরিবর্তন করে কাজের  পদ্ধতির  অনেক পরিবর্তন করে ফেলে। আসুন জেনে  নেই অফ পেইজ অপটিমাইজেশন  এর  মধ্যে  কি কি কাজ থাকেঃ
                            

                                সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) কি?

Seo কি

off page seo::

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর প্রকারভেদ ও প্রয়োজনীয়তা
অফ পেইজ অপটিমাইজেশন কাজের  প্রকারভেদঃ এসইও এর  কাজের  ৭৫% কাজ অফ-সাইট অপটিমাইজেশন এ  করতে  হয়। অফ-সাইট অপটিমাইজেশন এর  মাধ্যমে  আমরা  কোন সাইট এর পেজ রেঙ্ক আপ, ভিজিটর  বাড়ানো থেকে  আরো অনেক অনেক কাজ। এই জন্যে  আমাদের  যে  সকল কাজ করতে  হয় তা  হলঃ

১ঃ  ডিরেক্টরি সাবমিশন ;

২ঃ সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে লিঙ্ক শেয়ার করা ;

৩ঃ ভিডিও মার্কেটিং ;

৪ঃ ফোরাম পোষ্টিং ;

৫ঃ ডকুমেন্টস শেয়ারিং ;

৬ঃ আর.এস.এস. ফিড সাবমিশন ;

৭ঃ প্রেস রিলিস সাবমিশন ;

৮ঃ গেষ্ট পোষ্টিং ;

৯ঃ আর্টিকেল সাবমিশন ;

১০ঃ ব্লগে কমেন্টস করা ;


এছাড়াও আরো অনেক পদ্ধতি আছে  যা  আমরা পরবর্তিতে  কাজের  প্রয়োজনে  শেয়ার  করব।

১ঃডিরেক্টরি সাবমিশনঃ 

অনেকেই বলে এখন আর ডিরেক্টরি সাবমিশন থেকে এখন আর হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক পাওয়া যায় না। কিন্তু আপনি যদি সঠিকভাবে ডিরেক্টরি সাবমিশন করতে পারেন তাহলে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক পাওয়া সম্ভব। ডিরেক্টরি সাবমিশন করার সময় অবশ্যই মনে রাখবেন যে ডিরেক্টরি যাতে হাই পেজ র‍্যাঙ্ক, এলেক্সা র‍্যাঙ্ক, ডোমেইন অথরিটি এবং পেজ অথরিটি এর হয়।

২ঃ সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে লিঙ্ক শেয়ার করাঃ 

সোশ্যাল মিডিয়ে সাইটে লিঙ্ক শেয়ার করার মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার সাইট/ব্লগে অনেক রেফারাল ভিজিটর পেতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং যে শধু মাত্র রেফারেল ভিজিটর এর জন্য তা কিন্তু নয়, এটি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইট/ব্লগের র‍্যাঙ্কিং এ ও অনেক সাহায্যে করবে। এছাড়া অনেক সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক ও পাবেন। আমরা  সোশ্যাল মিডিয়া  বলতে ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন কে বুঝি কিন্তু এই গুলো ছাড়াও অনেক অনেক সোশ্যাল মিডিয়া  সাইট আছে। যেই গুলো থেকে আমরা  অনায়াসে  ব্যাকলিঙ্ক তৈরী করে  ফেলতে  পারি।

৩ঃ ভিডিও মার্কেটিংঃ

হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক করার জন্য ভিডিও মার্কেটিং এখনকার সময়ের জনপ্রিয় আরেকটি উপায়। আপনার ব্লগ/সাইট এর টপিক অনুযায়ী কিছু ভিডিও টিওটোরিয়াল তৈরী করুন তারপর সেগুলা জনপ্রিয় কিছু ভিডিও শেয়ারিং সাইট যেমন ইউটিউব, ডেইলিমোশন, ভিমো ইত্যাদি তে সাবমিট করে সেখান থেকে ব্যাকলিঙ্ক পেতে পারেন।

৪ঃ ফোরাম পোষ্টিংঃ

ফোরাম পোষ্টিং ও ব্যাকলিঙ্ক তৈরী করার অনেক পুরাতন এবং জনপ্রিয় একটি উপায় যার মাধ্যমে সহজেই ব্যাকলিঙ্ক করা যায়। অনেকের মতে ফোরাম এর ব্যাকলিঙ্ক এখন আর এস.ই.ও. তে কোন প্রভাব ফেলে না। কিন্তু আপনি যদি যথাযথ ভাবে ফোরাম পোষ্ট করতে পারেন তাহলে এখনো ফোরাম এর ব্যাকলিঙ্ক হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক এর কাজ করে। ফোরাম পোস্টিং এর  জন্যে  আপনাকে  অনেক অনেক খাটা খাটুনি করতে  হবে। আর  সকল ফোরামে  সমসময় পোস্ট  নেয় না।

৫ঃ ডকুমেন্টস শেয়ারিংঃ

আপনার ব্লগ/সাইট এর নিশ রিলেটেড কিছু ইবুক, পি.ডি.এফ. ফাইল এবং প্রেসেন্টেশন তৈরী করে সেইগুলা বিভিন্ন হাই পেজ র‍্যাঙ্ক, এলেক্সা র‍্যাঙ্ক ও ডোমেইন অথরিটির ডকুমেন্টস শেয়ারিং সাইট এ পাবলিশ করতে পারেন। ডকুমেন্টস গুলো তৈরী করার সময় সেগুলার মধ্যে আপনার সাইট এর ব্যাকলিঙ্ক দিয়ে দেন, তাহলেই সহজেই হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক পেয়ে যাবেন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

৬ঃ আর.এস.এস. ফিড সাবমিশনঃ

ডিরেক্টরি সাইট এর মত অনেক সাইট রয়েছে যেখানে আপনি আপনার ব্লগ এর আর.এস.এস. ফিড এর লিঙ্ক সাবমিট করতে পারবেন। এতে করে যখনই আপনার ব্লগে নতুন কোন পোষ্ট দিবেন তখন সয়ংক্রিয়ভাবে পোষ্ট এর লিঙ্কগুলো ঐ আর.এস.এস. ডিরেক্টরিতে চলে যাবে আর আপনি পেয়ে যাবেন কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক।

৭ঃ প্রেস রিলিস সাবমিশনঃ

এইটা অনেক পুরাতন একটি টেকনিক কিন্তু এখনো হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক করার জন্য অনেক কাজে দেয়। কিছু হাই পেজ র‍্যাঙ্ক এবং ডোমেইন অথরিটি এর প্রেস রিলিস সাইট খুঁজে বের করুন তারপর সেইগুলাতে আপনার ব্লগ/সাইট সম্পর্কে ইউনিক প্রেস রিলিস সাবমিট করুন যাতে সহজেই পাবলিশ হয়ে যায়।

৮ঃ গেষ্ট পোষ্টিংঃ

গেষ্ট পোষ্টিং বেশিরভাগ ক্ষেতে এটি আর্টিকেল সাবমিশন থেকেও বেশি কঠিন। আপনি যদি ভালো কন্টেন্ট রাইটার না হন আর অন্যান্য ব্লগারদের সাথে আপনার ভালো যোগাযোগ না থাকে তাহলে সহজে আপনি ভালো কোন ব্লগে গেষ্ট পোষ্টিং করে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক তৈরী করতে পারবেন না। এছাড়া আপনি গুগলে সার্চ করে আপনার সাইট এর নিশ রিলেটেড ব্লগ/সাইট খুঁজে বের করতে পারেন যা সহজেই গেষ্ট পোষ্ট অ্যাপ্রোভ করে।

৯ঃ আর্টিকেল সাবমিশনঃ

আর্টিকেল সাবমিশন আরেকটি গুরুত্বপূর্ন মাধ্যম যার সাহায্যে অনেক হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক করা সম্ভব। এইটা অনেকটা গেষ্ট পোষ্টিং এর মতো এবং আপনি যদি ব্লগিং বা এস.ই.ও. তে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে এটি হয়তবা আপনার জন্য কিছুটা কঠিন হতে পারে। কারন আর্টিকেল সাবমিশন এর জন্য ভালো আর্টিকেল লিখতে হয়। এছাড়া এতে কিছুটা ধৈর্য্য আর সময় দরকার হয়।

১০ঃ ব্লগে কমেন্টস করাঃ

এখন পর্যন্ত ব্লগ কমেন্টিং হচ্ছে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক এর সবচেয়ে বড় একটি উৎস। আপনি খুব সহজেই আপনার ব্লগ/সাইট এর নিশ অনুযায়ী ব্লগ খুঁজে বের করে সেখানে কমেন্টস করার মাধ্যমে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক করতে পারবেন। আপনি যদি অন্যদের ব্লগে ভালো কমেন্ট করতে পারেন তাহলে সেখান থেকে অনেক রেফারেল ভিজিটরও পাবেন।

Reff::::https://haluumseo.wordpress.com/2016/08/22/off-page-seo/


No comments:

Post a Comment