Thursday 28 February 2019

অফ পেইজ অপটিমাইজেশন – Off Page SEO

অফ পেইজ অপটিমাইজেশন – Off Page SEO

অফ পেইজ অপটিমাইজেশনঃ

অফ পেইজ অপটিমাইজেশন  এর  কাজ গুলো কোন সাইট এর  রেপুটেশন বাড়ানোর জন্যে  করা হয়। এই কাজের  জন্যে  বেশ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার  করা হয় ।অফ পেইজ অপটিমাইজেশন এর  সকল কাজ সব সময় সকল ভাবে  ইফেক্টিভ  হয় না। আবার  গুগল কিছু দিন পর  পর  তাদের  এলগরিদম পরিবর্তন করে কাজের  পদ্ধতির  অনেক পরিবর্তন করে ফেলে। আসুন জেনে  নেই অফ পেইজ অপটিমাইজেশন  এর  মধ্যে  কি কি কাজ থাকেঃ
                            

                                সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) কি?

Seo কি

off page seo::

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর প্রকারভেদ ও প্রয়োজনীয়তা
অফ পেইজ অপটিমাইজেশন কাজের  প্রকারভেদঃ এসইও এর  কাজের  ৭৫% কাজ অফ-সাইট অপটিমাইজেশন এ  করতে  হয়। অফ-সাইট অপটিমাইজেশন এর  মাধ্যমে  আমরা  কোন সাইট এর পেজ রেঙ্ক আপ, ভিজিটর  বাড়ানো থেকে  আরো অনেক অনেক কাজ। এই জন্যে  আমাদের  যে  সকল কাজ করতে  হয় তা  হলঃ

১ঃ  ডিরেক্টরি সাবমিশন ;

২ঃ সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে লিঙ্ক শেয়ার করা ;

৩ঃ ভিডিও মার্কেটিং ;

৪ঃ ফোরাম পোষ্টিং ;

৫ঃ ডকুমেন্টস শেয়ারিং ;

৬ঃ আর.এস.এস. ফিড সাবমিশন ;

৭ঃ প্রেস রিলিস সাবমিশন ;

৮ঃ গেষ্ট পোষ্টিং ;

৯ঃ আর্টিকেল সাবমিশন ;

১০ঃ ব্লগে কমেন্টস করা ;


এছাড়াও আরো অনেক পদ্ধতি আছে  যা  আমরা পরবর্তিতে  কাজের  প্রয়োজনে  শেয়ার  করব।

১ঃডিরেক্টরি সাবমিশনঃ 

অনেকেই বলে এখন আর ডিরেক্টরি সাবমিশন থেকে এখন আর হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক পাওয়া যায় না। কিন্তু আপনি যদি সঠিকভাবে ডিরেক্টরি সাবমিশন করতে পারেন তাহলে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক পাওয়া সম্ভব। ডিরেক্টরি সাবমিশন করার সময় অবশ্যই মনে রাখবেন যে ডিরেক্টরি যাতে হাই পেজ র‍্যাঙ্ক, এলেক্সা র‍্যাঙ্ক, ডোমেইন অথরিটি এবং পেজ অথরিটি এর হয়।

২ঃ সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে লিঙ্ক শেয়ার করাঃ 

সোশ্যাল মিডিয়ে সাইটে লিঙ্ক শেয়ার করার মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার সাইট/ব্লগে অনেক রেফারাল ভিজিটর পেতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং যে শধু মাত্র রেফারেল ভিজিটর এর জন্য তা কিন্তু নয়, এটি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইট/ব্লগের র‍্যাঙ্কিং এ ও অনেক সাহায্যে করবে। এছাড়া অনেক সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক ও পাবেন। আমরা  সোশ্যাল মিডিয়া  বলতে ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন কে বুঝি কিন্তু এই গুলো ছাড়াও অনেক অনেক সোশ্যাল মিডিয়া  সাইট আছে। যেই গুলো থেকে আমরা  অনায়াসে  ব্যাকলিঙ্ক তৈরী করে  ফেলতে  পারি।

৩ঃ ভিডিও মার্কেটিংঃ

হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক করার জন্য ভিডিও মার্কেটিং এখনকার সময়ের জনপ্রিয় আরেকটি উপায়। আপনার ব্লগ/সাইট এর টপিক অনুযায়ী কিছু ভিডিও টিওটোরিয়াল তৈরী করুন তারপর সেগুলা জনপ্রিয় কিছু ভিডিও শেয়ারিং সাইট যেমন ইউটিউব, ডেইলিমোশন, ভিমো ইত্যাদি তে সাবমিট করে সেখান থেকে ব্যাকলিঙ্ক পেতে পারেন।

৪ঃ ফোরাম পোষ্টিংঃ

ফোরাম পোষ্টিং ও ব্যাকলিঙ্ক তৈরী করার অনেক পুরাতন এবং জনপ্রিয় একটি উপায় যার মাধ্যমে সহজেই ব্যাকলিঙ্ক করা যায়। অনেকের মতে ফোরাম এর ব্যাকলিঙ্ক এখন আর এস.ই.ও. তে কোন প্রভাব ফেলে না। কিন্তু আপনি যদি যথাযথ ভাবে ফোরাম পোষ্ট করতে পারেন তাহলে এখনো ফোরাম এর ব্যাকলিঙ্ক হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক এর কাজ করে। ফোরাম পোস্টিং এর  জন্যে  আপনাকে  অনেক অনেক খাটা খাটুনি করতে  হবে। আর  সকল ফোরামে  সমসময় পোস্ট  নেয় না।

৫ঃ ডকুমেন্টস শেয়ারিংঃ

আপনার ব্লগ/সাইট এর নিশ রিলেটেড কিছু ইবুক, পি.ডি.এফ. ফাইল এবং প্রেসেন্টেশন তৈরী করে সেইগুলা বিভিন্ন হাই পেজ র‍্যাঙ্ক, এলেক্সা র‍্যাঙ্ক ও ডোমেইন অথরিটির ডকুমেন্টস শেয়ারিং সাইট এ পাবলিশ করতে পারেন। ডকুমেন্টস গুলো তৈরী করার সময় সেগুলার মধ্যে আপনার সাইট এর ব্যাকলিঙ্ক দিয়ে দেন, তাহলেই সহজেই হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক পেয়ে যাবেন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

৬ঃ আর.এস.এস. ফিড সাবমিশনঃ

ডিরেক্টরি সাইট এর মত অনেক সাইট রয়েছে যেখানে আপনি আপনার ব্লগ এর আর.এস.এস. ফিড এর লিঙ্ক সাবমিট করতে পারবেন। এতে করে যখনই আপনার ব্লগে নতুন কোন পোষ্ট দিবেন তখন সয়ংক্রিয়ভাবে পোষ্ট এর লিঙ্কগুলো ঐ আর.এস.এস. ডিরেক্টরিতে চলে যাবে আর আপনি পেয়ে যাবেন কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক।

৭ঃ প্রেস রিলিস সাবমিশনঃ

এইটা অনেক পুরাতন একটি টেকনিক কিন্তু এখনো হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক করার জন্য অনেক কাজে দেয়। কিছু হাই পেজ র‍্যাঙ্ক এবং ডোমেইন অথরিটি এর প্রেস রিলিস সাইট খুঁজে বের করুন তারপর সেইগুলাতে আপনার ব্লগ/সাইট সম্পর্কে ইউনিক প্রেস রিলিস সাবমিট করুন যাতে সহজেই পাবলিশ হয়ে যায়।

৮ঃ গেষ্ট পোষ্টিংঃ

গেষ্ট পোষ্টিং বেশিরভাগ ক্ষেতে এটি আর্টিকেল সাবমিশন থেকেও বেশি কঠিন। আপনি যদি ভালো কন্টেন্ট রাইটার না হন আর অন্যান্য ব্লগারদের সাথে আপনার ভালো যোগাযোগ না থাকে তাহলে সহজে আপনি ভালো কোন ব্লগে গেষ্ট পোষ্টিং করে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক তৈরী করতে পারবেন না। এছাড়া আপনি গুগলে সার্চ করে আপনার সাইট এর নিশ রিলেটেড ব্লগ/সাইট খুঁজে বের করতে পারেন যা সহজেই গেষ্ট পোষ্ট অ্যাপ্রোভ করে।

৯ঃ আর্টিকেল সাবমিশনঃ

আর্টিকেল সাবমিশন আরেকটি গুরুত্বপূর্ন মাধ্যম যার সাহায্যে অনেক হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক করা সম্ভব। এইটা অনেকটা গেষ্ট পোষ্টিং এর মতো এবং আপনি যদি ব্লগিং বা এস.ই.ও. তে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে এটি হয়তবা আপনার জন্য কিছুটা কঠিন হতে পারে। কারন আর্টিকেল সাবমিশন এর জন্য ভালো আর্টিকেল লিখতে হয়। এছাড়া এতে কিছুটা ধৈর্য্য আর সময় দরকার হয়।

১০ঃ ব্লগে কমেন্টস করাঃ

এখন পর্যন্ত ব্লগ কমেন্টিং হচ্ছে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক এর সবচেয়ে বড় একটি উৎস। আপনি খুব সহজেই আপনার ব্লগ/সাইট এর নিশ অনুযায়ী ব্লগ খুঁজে বের করে সেখানে কমেন্টস করার মাধ্যমে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক করতে পারবেন। আপনি যদি অন্যদের ব্লগে ভালো কমেন্ট করতে পারেন তাহলে সেখান থেকে অনেক রেফারেল ভিজিটরও পাবেন।

Reff::::https://haluumseo.wordpress.com/2016/08/22/off-page-seo/


কিভাবে একজন এসইও এক্সপার্ট হবো ।

কিভাবে একজন এসইও এক্সপার্ট হবো ।


এসইও এক্সপার্ট

এসইও।

এমন একটা টপিক, যেটা সম্ভবত বাংলাদেশের প্রতি ঘরের একজন মনে করে সে পারে।

তার কারণ খুব সহজ। সে হয় কোচিং করেছে এসইও বিষয়ে কোথাও কিংবা সে কিছু ভিডিও দেখেছে + আর্টিকেল পড়েছে এসইও নিয়ে এবং ধরে নিয়েছে সে জানে এসইও এর ব্যপারে।তার ধারণা টি ভুল।

আপনি যেমন সাকসেসফুল অপারেশন না করতে পেরে বলবেন না যে আপনি একজন মেডিকেল সার্জন, এক ই ভাবে, আপনি যদি কোন একটা ওয়েবসাইট কে ভাল কম্পিটিশন এর একটা মার্কেট এ দামী একটা কিওয়ার্ড এর জন্য র‍্যাঙ্ক করিয়ে না থাকেন, আপনি এসইও এক্সপার্ট না।

অফ টপিকঃ 

আপনার যদি মনে হয় আপনি এসইও এক্সপার্ট কিন্তু আপনি কাজ পাচ্ছেন না, অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনাকে লাখ খানেক টাকার কাজ দেবো। শর্ত আছে। আপনি কি কি করছেন পুরো টা আমাদের এই ওয়েবসাইটে ব্লগ করে জানাতে হবে এবং যদি আপনি আসলেই র‍্যাঙ্ক করতে না পারেন আমরা যেই কিওয়ার্ড দেবো সেটা (মানে আপনি এসইও এক্সপার্ট না), তাহলে আমরা যে আপনাকে হায়ার করলাম এজন্য আমাদের লাখ খানেক টাকা দেবেন। :p

মজা করছি কিন্তু কেউ চ্যালেঞ্জ টা আসলেই নেবে না। কারণ মনের গভীরে আমরা নিজেরাও জানি, আমরা কাজ পেতে যত টা আগ্রহী, আমাদের স্কিল সেই লেভেলের না।

এজন্যেই আজকে আমরা কথা বলবো কিভাবে এসইও এক্সপার্ট হওয়া যায় তা নিয়ে। চলুন শুরু করি।

কিভাবে একজন এসইও এক্সপার্ট হবো?


প্রথমেই আপনাকে বুঝতে হবে। এসইও ২০১২-২০১৫ সাল এ যা ছিল, এখন তার আর প্রায় কিছুই নেই। আপনি যদি সে আমলের কিছু ভিডিও দেখে বা ব্লগ এসইও শিখে থাকেন, আপনাকে প্রায় পুরো জিনিস টিই নতুন করে শিখতে হবে আবারো।

ওহ, এসইও কি যারা জানেন না, এসইও হল গুগল এ কোন ওয়েবসাইট কে প্রথম পেজ এ আনার কৌশল। এসইও কথা টার মানে হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

এসইও হয় ৩ ধরণের।


সাদা টুপি বা হোয়াইট হ্যাট এসইও
গ্রে হ্যাট এসইও বা ধূসর টুপি এসইও
ব্ল্যাক হ্যাট এসইও বা কালো টুপি এসইও
এসইও তো সেই এক ই রকম, গুগলে সাইট র‍্যাঙ্ক করানোর পদ্ধতি। তবে কে কোন কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে তার উপর নির্ভর করে এই ভাগ গুলো করা হয়। সাদা টুপি হল একদম গুগল এর গাইডলাইন মেনে কাজ করা, গ্রে হ্যাট হল কিছু মানা এবং কিছু গাইডলাইন না মানা, অন্যদিকে ব্ল্যাক হ্যাট হল প্রায় কিছুই না মানা।

অন্যভাবে,

এসইও আবার ২ ভাগেও ভাগ করা যায়। সেক্ষেত্রে বিভাজন টা হবে এরকমঃ

অন পেজ এসইও
অফ পেজ এসইও

অন পেজ এসইও

যেসব জিনিস আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর ভেতরে করেন আপনার ওয়েবসাইট কে গুগলে আরো ভাল র‍্যাঙ্ক করানোর জন্য, সেগুলো কে বলা হয় অন পেজ এসইও। যেমন সাইটে কনটেন্ট দেয়া, সাইট এর লোডিং স্পিড বাড়ানো, সাইটের ইউ আর এল সুন্দর করা, ইত্যাদি।

অফ পেজ এসইও

যেসব জিনিস আপনি সাইটের বাইরে করেন, সেগুলো কে মূলত অফ পেজ এসইও এর কাতারে ফেলা হয়। যেমন অন্য আরেকটা ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে একটা ব্যাকলিঙ্ক পাঠানো, আপনার সাইট নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোষ্ট দেয়া, ইত্যাদি।

একজন এসইও এক্সপার্ট হতে হলে আপনার আমি এতক্ষণ ধরে যে কয়টি বিষয় বললাম তার প্রতি টি তে নিজেকে এক্সপার্ট করে তুলতে হবে। ব্যপার টি সহজ নয় এবং এর জন্য বেশ ভাল পরিমাণ সময়, অর্থ, এক্সপেরিমেন্ট দরকার হয়।

তবে ভাল খবর হল আপনি যদি সেই কষ্ট টা করতে রাজি থাকেন, কাজ পেতে অভাব হয় না।

একজন ভাল এসইও এক্সপার্ট এর মান্থলি বেতন হতে পারে ১০০০ ডলার থেকে শুরু করে ২০ বা ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত। আমাদের প্যাসিভ জার্নাল এ কাজ করেন এমন অনেক এসইও এক্সপার্টকেই আমরা হাজার ডলার এর আশপাশে বেতন দিয়ে থাকি।

সুতরাং এটা বলা যায় যে যদি আপনি এক্সপার্ট হন, সেক্ষেত্রে আপনার কাজের অভাব হবে না।

এখন আবার আমাদের আর্টিকেল এর মূল প্রশ্নে ফেরত যাই, কিভাবে আমি এসইও এক্সপার্ট হবো তাই না?

আমার প্রথম রিকমেন্ডেশন হবে ব্লগ পড়া। আমি জানি ভিডিও দেখা অনেকের কাছেই সহজ মনে হয় তবে রিটেন ইনফরমেশন এ যে পরিমাণ ভ্যালু থাকে, তা ভিডিও তে থাকে না সাধারণত। যারা এসইও শিখতে চায় তাদের সবাইকে আমি এই ব্লগ গুলো রিকমেন্ড করি সব সময়ঃ

Point Blank SEO
Backlinko
Moz Blog
Ahrefs Blog
Search Engine Journal
SEO.com
Search Engine Land
Hubspot SEO Blog
Yoast SEO Blog
এখন কথা হল, এই আর্টিকেল টা যদি ১০০০ জন পড়ে, হায়েস্ট ১০ জন মানুষ আছে যারা এই নাম গুলো গুগল করবে। এবং হায়েস্ট ২ বা ৩ জন এই ওয়েবসাইট গুলো ঘাটাঘাটি করে আর্টিকেল গুলো পড়বে।

সেই মানুষ গুলোই আগামী সময়ে এসইও ইন্ডাস্ট্রি টা শাসন করবে। এবং আমি চাই আপনি সেই মানুষ গুলোর একজন হন।

এখন কথা হল, ব্লগ তো পড়ছেন, ব্লগ এ যা যা বলা হবে, তা কিন্তু করতেও হবে। যদি না করেন এবং শুধু পড়েই যান, তখন ২ টা বিশাল ক্ষতি হবে। ১, আপনি যা পড়ছেন তার কি কি আসলেই ঠিক, কি কি ভুল তা জানা হবে না। এবং ২, আপনি প্র্যাকটিস করতে পারবেন না যা শিখবেন তাই।

আরেকটা ক্ষতি ও হবে তা হল যখন আপনি কর্মক্ষেত্রে যাবেন এবং ক্লায়েন্ট জিজ্ঞেসা করবে আপনি এত দিন কি কি কাজ করেছেন, তখন কিন্তু আপনি বলতে পারবেন না যে আমি অমুক ব্লগ পড়েছি। আপনার বলতে হবে দেখো আমি এই কিওয়ার্ড টা র‍্যাঙ্ক করেছি এবং এই এই পদ্ধতি ব্যবহার করে করেছি। তাই না?

আমরা যদি সব স্টেপ গুলো কে ভেঙ্গে একদম সহজ করে নিয়ে আসি তাহলে এসইও শেখার জন্য আপনাকে শুধু এই কাজ গুলো করতে হবে।

কাজ ১ঃ ব্লগ গুলো পড়া

কাজ ২ঃ ব্লগ এ যা পড়বেন সব নিজে একটা সাইট বানিয়ে সাইটে প্র্যাকটিস করা

এই ই। আর তেমন কিছু করতে হবে না যদি আপনি আসলেই এসইও এর দুনিয়ায় নিজেকে দাঁড় করাতে চান। আশা করি এই আর্টিকেল টা আপনাদের এসইও জার্নি তে হেল্প করবে!

Reff::: https://passivejournaluniversity.com/seo-expert-bangladesh/






Tuesday 26 February 2019

এসইও কি? What Is SEO


 এসইও কি? 

এসইও কি, What Is SEO,

প্রারম্ভিকা: আমি ব্লগিং করছি গত ৮ মাস যাবত। প্রথম দিকে শুরু করেছিলাম ব্লগারে কিছ ব্যক্তিগত ব্লগ নিয়ে। বিভিন্ন কমিউনিটি ব্লগ যেমন, সামহোয়ারইনব্লগ, টেকটিউনসে ও মাঝে মাঝে যেতাম। বেশ কিছুদিন আগে সামুতে বিভিন্ন লেখার মাঝে এডসেন্স বিষয়ক কয়েকটা লেখা পড়লাম। মূলত তারপর থেকেই এডসেন্সের ভূত মাথায় চাপলো।
আমার প্রফেশনাল ব্লগিং জগতে আসা মূলত এই এডসেন্সের কথা মাথায় রেখেই। গত ৬ মাসে এডসেন্স নিয়ে অনেক পড়াশুনা করেছি। প্রচুর ই-বুক পড়েছি। বেশ কতগুলা ভিডিও টিউটোরিয়ালও দেখেছি। এভাবে আস্তে আস্তে এডসেন্সের সাথে সাথে সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশনও (এস. ই. ও) শিখতে শুরু করলাম।
এসইও ছাড়া এডসেন্স আসলে অচল। আমি এডসেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার আগে সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) (Search Engine Optimization) সম্পর্কে আলোচনা করতে চাই। প্রফেশনাল ব্লগিং এরকম একটা জিনিস, যেখানে আপনাকে একটা ভিজিটর ম্যনেজ করতে হবে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের সাথে প্রতিযোগিতা করে। আশানুরুপ ভিজিটর পেতে চাইলে অবশ্যই সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা থাকা উচিত।কারন ভিজিটর না থাকলে এডসেন্সের কথা ভাবা বোকামী।

এসইও (SEO) সম্পর্কিত আমার ধারনাগুলো:

এস. ই. ও হচ্ছে একটি পদ্বতি যার মাধ্যমে বিভিন্ন সার্চ ইন্জিন যেমন গুগল, ইয়াহু বা বিংয়ের বিভিন্ন আভ্যন্তরীন প্যারামিটারগুলি ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইট বা এর কোন একটি পেজকে সার্চ ইন্জিন রেজাল্ট পেজে কত উপরে, কত নাম্বারে বা তা কত ভালো দেখাবে তা নিশ্চিত করা যায়। সাধারনত দুই ধরনের এস ই ও রয়েছে। ১. অনপেজ সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন, ২. অফ পেজ সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন।
এস ই ও এর কতগুলি বেসিক জিনিস আছে যেগুলি প্রত্যেকটা ব্লগারের জন্য জানা আবশ্যিক। নিচে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করা হলো-

১। লেখার উন্নত মান (Unique & Quality Content)

এর চেয়ে বড় এস. ই. ও. কিছুই হতে পারে না। আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি- আপনি যদি এসইও সম্পর্কে কিছু নাও জানেন, কিন্তু নিয়মিত খুব ভালো লিখে যেতে পারেন তবে আপনার ব্লগ বা পোস্টের কোন এসইও দরকার পড়ে না। উন্নত লেখা নিজেই একটা এসইও। নিয়মিত ভালো এবং অনন্য লেখা লিখে যেতে পারলে সার্চ ইন্জিন সমূহ নিজে থেকেই আপনার ব্লগটা চিনে নিবে এবং রেজাল্ট পেজে প্রথম দিকে রাথবে। মনে রাখবেন, সার্চ ইন্জিনগুলা এতটা বোকা নয় যে প্রচুর অযাচিত কীওয়ার্ড দিয়ে বানানো একটা লেখাকে সার্চ ইন্জিনে প্রথম দিকে স্থান দিয়ে নিজের ইমেজ নষ্ট করবে। আপনি নিজেকে একজন সাধারন ভিজিটর হিসেবে চিন্তা করুন। মনে করুন কোন একটা সমস্যায় পড়েছেন এবং গুগলে সার্চ দিলেন। গুগল আপনাকে কোন ব্লগ বা ওয়েবসাইটের কয়েকটা লিংক দিলো যেগুলাতে গিয়ে দেখলেন – লেখাটি লিখা হয়েছে প্রচুর অনাকাংখিত রিপিটেড কীওয়ার্ড দিয়ে, যার ফলে লেখাটির ভিতর থেকে মূল কথাটিই খুজে বের করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আপনি নিশ্চয়ই তখন গুগলের উপর বিরক্ত হবেন!!! সার্চ ইন্জিনগুলোও এ কথাটি জানে। অযাচিত কীওয়ার্ড দিয়ে আপনি হয়তো প্রথমদিন রেজাল্ট পেজে আসতে পারবেন, কিন্তু খুব দ্রুতই আবার হারিয়ে যেতে হবে।
তার চেয়ে বরং নিয়মিত ভালো লিখুন। আপনার লেখা রেজাল্ট পেজে স্থায়ী হবে এবং তুলনামুলকভাবে লাভবান হবেন বেশী। 

২। কী-ওয়ার্ড (Keyword)

কীওয়ার্ড হচ্ছে একটি অর্থবোধক শব্দ যা মানুষ সার্চ ইন্জিনের সার্চ বক্সে টাইপ করে নির্দিষ্ট কোন তথ্য খুজে বের করার জন্য। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে যা দেখেছি- মানুষ খুব কম সময়ই একটি মাত্র শব্দ দিয়ে সার্চ করে। বরং মানুষ এখন অনেক বেশী স্পেসিফিক তথ্য চায়। এজন্য তারা গ্রুপ কী-ওয়ার্ড (Phrase Keyword) ব্যবহার করে। এজন্য আপনি যদি “ডিজিটাল ক্যামেরা” কী-ওয়ার্ড না দিয়ে যদি “ক্যাননের ডিজিটাল ক্যামেরা” কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করেন তাহলে অনেক ভালো ফল পাবেন। এক্ষেত্রে আরেকটি সুবিধা হলো- আপনার Global Competitor কমে যাবে ফলে খুব সহজেই রেজাল্ট পেজের প্রথম দিকে স্থান পাবেন। 

৩। আভ্যন্তরীন লিংক বিন্যাস (Internal Link Building):

 আমার কাছে এ ব্যাপারটা বেশ ফলপ্রসু মনে হয়েছে। আপনি যদি বিখ্যাত তথ্যভিত্তিক সাইট “উইকিপিডিয়া” ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই জানেন যে বিভিন্ন সার্চ ইন্জিনে তাদের স্থান বরাবরই প্রথম। তাদের আভ্যন্তরীন লিংক বিন্যাসটা খেয়াল করেছেন? এক কথায় অসাধারন। আপনি কেনই বা এ ট্রিকসটা ব্যবহার থেকে দূরে থাকবেন? Internal Linking যেমন একটি পেজ আরেকটি পেজকে ব্যকলিংক দেয় তেমনি সার্চ ইন্জিন রোবটকে প্ররোচিত করে এক লিংক থেকে আরেক লিংকে জাম্পিং করে ইন্ডেক্স করার জন্য। আর নতুন লেখার সাথে সমজাতীয় পুরনো লেখার লিংকিং এর কারনে সবগুলো পেজই সার্চ ইন্জিনের নখদর্পনে থাকে যা আপনার ব্লগের রেংক বাড়ানোর ক্ষেত্রে দারুন সহায়ক।

৪। বিভিন্ন ট্যাগ এবং মেটার উপযুক্ত ব্যবহার ( Using Meta & Different Tags)

প্রত্যেকটা ব্লগারের এই স্টেপটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা থাকা জরুরী। পোস্ট টাইটেল অবশ্যই H1 এবং পোস্টের সাব হেডিং বা পয়েন্টগুলা H2 ট্যগের ভিতর রাখতে হবে। তবে সার্চ ইন্জিনগুলা H1 ট্যাগটাই গুরুত্ব দিয়ে দেখে। পোস্ট ইমেজ ব্যবহার করুন এবং পোস্টটি যে কীওয়ার্ডটির উপর ভিত্তি করে লিখেছেন, সেই কীওয়ার্ডটি ইমেজের Alt Tag এ বসিয়ে দিন। পোস্টের টাইটেল ট্যাগে ইংরেজী And, Or, &, The এই শব্দগুলি পরিহার করে ভালো কীওয়ার্ড সমৃদ্ধ ৬০ শব্দের মধ্যে একটি বাক্য বসিয়ে দিন। মেটা ডেসক্রিপশন হতে হবে ১৬০ শব্দের মধ্যে এবং এক্ষেত্রে কীওয়ার্ডটি বাক্যের শুরুতেই বসাবার চেষ্টা করুন।

৫। মার্কেটিং (Marketing)

এটা অফলাইন এস. ই. ওর একটি অংশ। সংক্ষিপ্তভাবে বলতে গেলে বিভিন্ন সোসাল নেটওয়ার্ক যেমন ফেসবুকটুইটার, লিংকডইন এবং বুকমার্কিং সাইট যেমন ডেলিশাসডিগরেডিট ব্যবহার করে ব্লগ বা ওয়েবসাইটের প্রমোট করাকেই মার্কেটিং বোঝায়। আর্টিকেল সাবমিশন এবং কমেন্টিং করাও মার্কেটিং এর একটি অংশ। একটি পোস্ট লিখার পর উপরোক্ত মার্কেটিং সাইটগুলা ব্যবহার করে আপনার লিংক সাবমিট করুন। 
এই হলো সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশনের বেসিক বিষয়। একটি পোস্ট লেখার সময় উপরোক্ত বিষয়গুলা মাথায় থাকলে আপনার সাইট হবে Well-Optimized.  ফলে দ্রুত ভালো পরিমান ভিজিটর পেতে শুরু করবেন। 
অবশেষে একটা কথা বলতে চাই, সেটি হচ্ছে – “ধৈর্য্যধারন করুন এবং লেগে থাকুন”। ইন্টারনেটের এই বিশাল ভুবনে নিজের জন্য একটু জায়গা অবশ্যই করে নিতে পারবেন যদি আপনার এই ধৈর্য্যধারন করার ধৈর্য্যটুকু থাকে।

আমি আমার প্রথম চেক পেয়েছি এই চলতি মাসে (জুন’ ২০১০)। কিন্তু এডসেন্স নিয়ে কাজ করছি গত ৬ মাস যাবত। এর মধ্যে অনেক বাধা এসেছে। পিন কোড ভেরিফাই না করার কারনে কয়েকদিন PSA ও দেখাচ্ছিল। কিন্তু  আমি দমে যাই নাই। কারন, কোন একটা ব্লগে পড়েছিলাম – “ইন্টারনেটে আয়ের ক্ষেত্রে শতকরা ১০০ জনই সাফল্য পায়, কিন্তু দু:খের বিষয়, ঔই ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৯০ জনই ঠিক সাফল্যের দোড়গোড়ায় এসে ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে”।
 আমি এই ৯০ জনের দলে থাকতে চাইনি। গত মাসের চেক এ মাসে হাতে পেয়েছি। আর এ পোস্ট যখন লিখছি, চলতি মাসের আর্নিং ১৫০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আশা করি এখন থেকে প্রতি মাসে চেক পাবো।
 নিচে কতগুলা লিংক দিয়ে দিলাম যেখানে বিভিন্ন এডসেন্স এবং এস. ই. ও টিপসের জন্য প্রায় প্রতিদিনই যাওয়া হয় –

এখন আমি আপনাদের সামনে গল্পে গল্পে এসইও (SEO) কি ও কেন এসইও করবেন সেই সম্পর্কে আলোচনা করবো ।

রহিম ও করিম ২ বন্ধু গঞ্জে দোকান দিয়েছে। ২ জনের ব্যাবসা ভালই চলছিল। একজন অপর জনকে কিভাবে ছাড়িয়ে যাবে সেই চিন্তা মশগুল তারা দুজনে। সেই চিন্তার ফলাফল ছিল এমন রহিম গঞ্জে আরও একটি দোকান খুলল  আর করিম ভাবল আমি এই গঞ্জকে টার্গেট করবো না আমি সারা দেশ টার্গেট করে দোকান দিবো, সেই চিন্তা ভাবনা থেকে সে একটা ওয়েবসাইট চালু করলো যেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সে সারাদেশে ব্যাবসা করবে ।
রহিম তার দোকান থেকে ভালই ব্যাবসা করতে শুরু করলো ঐদিকে করিমের ওয়েবসাইটে মানুষ জন তেমন একটা আসে না (কারন এরকম দোকান আরো অনেক আছে গঞ্জে) যার ফলে তার ব্যাবসা ও চলছে না । করিম ভাবলো কি করা যায় কিভাবে তার ওয়েবসাইট সবার কাছে পরিচিত করে তুলা যায় যে  এটা একটা অনলাইন দোকান ।  সে এক আইটি এক্সপার্টের কাছে গিয়ে সাজেশন চাইলো তার সকল সমস্যা খুলে বলে । সেই আইটি এক্সপার্ট তাকে  কি বলল চলুন আমরা তাদের কথা বার্তার একটু সারাংশ শুনে আসি।

আইটি এক্সপার্টঃ 

আপনার  একটা ওয়েবসাইট আছে তা আগে সবাইকে জানাতে হবে  ।

করিমঃ 

কিভাবে আমি জানাবো ভাই ? আমি কি পোস্টার স্তিকার ব্যানার সাইনবোর্ড টানিয়ে জানাবো যে আমার একটা ওয়েবসাইট আছে এখানে আপনারা আপনাদের সকল প্রয়োজনীয় জিনিষ পাবেন ।

আইটি এক্সপার্টঃ 

না, আপনি আপনার অনলাইন দোকান এর জন্য অনলাইনে প্রচার প্রচারণা চালাবেন । এই প্রচার কে বলে এসইও।

করিমঃ এসইও কি ভাই ?

আইটি এক্সপার্টঃ

এই প্রচার কে বলে এসইও বা সার্চ ইঙ্গিন অপটিমাইজেশন SEO( Search Engine Optimization)।
একে আমরা এইভাবে বলতে পারিঃ

 এসইও  এমন একটি সিস্টেম  যার মাধ্যমে আপনি সার্চ ইঙ্গিন থেকে  ট্রাফিক / ভিজিটর পাবেন ফ্রী / পেইড / এডিটরিয়াল এর   মাধ্যমে ।

সার্চ ইঙ্গিন এর ভিতর গুগল (google),  বিং(bing),  ইয়াহু (yahoo),  ইয়ানডেক্স (yandex) ইত্যাদি অন্যতম ।

করিমঃ 

এসইও  কেন করবো ভাই যদি একটু বিস্তারিত বলতেন ?

আইটি এক্সপার্টঃ 

ভাই আপনার বন্ধু তার প্রচার করবে সে  পোস্টার স্তিকার ব্যানার সাইনবোর্ড টানিয়ে  যে আমার গঞ্জে একটা দোকান রয়েছে যেখানে আপনার সকল জিনিষ পাবেন সে তার গঞ্জের ছোট এলাকা থেকে লোকজন আসবে । তার প্রচারণা এর পরিসীমা ঐ তার গঞ্জের ছোট এলাকা । আর আপনার টার্গেট এলাকা সারাদেশ যেহেতু আপনি সারাদেশে  পোস্টার স্তিকার ব্যানার সাইনবোর্ড টানিয়ে প্রচারণা সমভবনা কারন এটা অনেক সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল । এই জন্য আপনি আপনার প্রচারের জন্য সারদেশের মানুষ যেইখানে সার্চ করে বা খুজে সেইজাইগায় আপনার প্রচার চালাবেন ।

করিমঃ 

সারদেশের মানুষ কোথায় সার্চ করে ?

আইটি এক্সপার্টঃ 

সারাদেশের মানুষ সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে আপনি তাই সার্চ ইঞ্জিনে প্রচার চালাবেন । যার ফলে আপনি সারাদেশের মানুষের কাছে খুবি কম খরচে কম সময়ে আপনার দোকানের প্রচার করতে পারবেন। এবং সারাদেশ থেকে আপনার দোকানে  কাস্টমার পাবেন । যার ফলে আপনার দোকানের ব্যাবসা ও বৃদ্ধি পাবে।

করিমঃ 

ধন্যবাদ ভাই এবার আমি বুঝতে পারছি  এসইও কি ও কেন এসইও করবো ।ভবিষ্যতে কিন্তু আরো বিরক্ত করবো আপনাকে ভাই। আশা করি আপনি আমাকে সাহায্য করবেন।

আইটি এক্সপার্টঃ 

অবশ্যই। সমস্যা  নেই। সাথেই আছি।

ক্যারিয়ার হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)

                        ক্যারিয়ার হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)

তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় কাজের ক্ষেত্র এখন বিশ্বব্যাপি। ঘরে বসেই কম্পিউটারের মাউস আর কিবোর্ডের সমন্বয়ে অর্জিত বৈদেশিক ডলারে স্বাবলম্বি হচ্ছেন অনেকেই। অনলাইনে আয়ের এমনই একটি মাধ্যম হলো এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সময়ের পেশা হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যথার্থই বটে। যারা পেশা হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে বেছে নিতে চান তাদের জন্যই এ লেখা। সম্প্রতি দৈনিক সমকালে আমার এ লেখাটি প্রকাশিত হয়। সেটি আর্নট্রিক্সের পাঠকদের জন্য এখানে প্রকাশ করা হলো।
কম্পিউটার ইন্টারনেটের এই যুগে প্রথাগত চাকরির ধরণ পাল্টে যাচ্ছে! ধারণা করা হচ্ছে, আগামী দিনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অফিসগুলো হবে ভার্চুয়াল অফিস। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই প্রতিষ্ঠানটির সকল এমপ্লয়ি অফিসের সমস্ত কার্যক্রম শেষ করবেন। এই পরিবর্তণের ছোয়া লেগেছে বেশ আগেই। সময়ের পরিবর্তনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ঘরে বসে আয়ের মাধ্যমগুলো। আয়ের এই মাধ্যমকে অনেকেই পেশা হিসেবে নিচ্ছেন। আয়ের এমনই একটি মাধ্যম এসইও অর্থ্যাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সময় এবং কাজের ধরনের এই পরিবর্তনে যুগোপযোগি পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। যারা এই পেশার সঙ্গে জড়িত তাদের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার বলা হয়। বাংলাদেশেই হাজার হাজার তরুণ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার প্রতি মাসেই শত শত ডলার আয় করছে। ইন্টারনেটে কাজের ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত ওডেক্সফ্রিল্যান্সারসহ জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারদের বেশ জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে পেশা হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে বেছে নেওয়ার বিশাল ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
ক্যারিয়ার হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)

এসইও কি?

এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলো মূলত সার্চ ইঞ্জিনকে নিয়ে কাজ করা বা অনলাইন মার্কেটিং করা। বিষয়টি একটু বিষদভাবে বলা প্রয়োজন। যখন কোনো বিষয়ে গুগলে সার্চ করা হয় তখন সে বিষয়ে হাজার হাজার ওয়েবসাইটের ঠিকানা আসে। প্রথম পেজে ১০টি ওয়েবসাইটের ঠিকানা আসে। এখন ধরুন আপনার একটি ওয়েব সার্ভিস প্রতিষ্ঠান আছে। অনলাইনে প্রচারনার জন্য প্রতিষ্ঠানটির একটি ওয়েবসাইটও আছে। এখন কেউ যদি ওয়েব সার্ভিস লিখে গুগলে সার্চ করে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ রেজাল্টের প্রথমে আনার জন্য আপনাকে ব্যাকএন্ডে যা করতে হবে সেটিই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। এককথায় সার্চ ইঞ্জিনে কোনো ওয়েবসাইটের প্রথম অবস্থানে আনার জন্য যা করা লাগে সেটাই সার্চ ইঞ্জিন। নতুন কোনো সাইটে ভিজিটর আনার  উপায় হলো এসইও। এসইও প্রধানত দু’প্রকার। একটি হলো অনপেজ অপটিমাইজেশন, অপরটি অফপেজ অপটিমাইজেশন

এসইও তে যা করতে হয়

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বিভিন্নভাবে করা যায়। প্রথমত আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের সঙ্গে মিল রেখে উপযুক্ত কি-ওয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে। সব ধরনের সার্চ ইঞ্জিনে সাইটকে সাবমিট করা। এছাড়া সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি ইউআরএল ব্যবহার, সঠিক হেডিংয়ের ব্যবহার, ওয়েব ডিরেক্টরিগুলোতে সাইট সাবমিট করা, ম্যাস মেইলিং প্রসেস, ব্যাকলিংক তৈরি করা, উন্নত ও ইউনিক কনটেন্ট তৈরি করা, alt এট্রিবিউটের ব্যবহার, robot.txt-এর ব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগ সাইটে শেয়ারিং, ডেসক্রিপশন ট্যাগ, মেটা ট্যাগ, এক্সএমএল সাইটম্যাপ তৈরি, ফোরাম পোস্টিং, আর্টিকেল সাবমিটিং, লিংকহুইল ইত্যাদি কাজ করতে  হবে। এগুলো সবকিছুই আপনি যে সাইট নিয়ে কাজ করছেন গুগলে র‌্যাংকিংয়ে তার ভালো পজিশনে বা প্রথম দিকে আনার ক্ষেত্রে কাজ করবে।

ক্যারিয়ার হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)

কেন শিখবেন এসইও?

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন [এসইও] সময়ের আলোচিত একটি পেশা। যারা ওয়েব উদ্যোক্তা বা ওয়েবমাস্টার হতে চান তাদের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শেখা অবশ্যই জরুরি। এছাড়া যারা সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তারাও এসইও শিখে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে শত শত ডলার আয় করতে পারেন। বিশেষ করে যাদের কম্পিউটারের সাধারণ জ্ঞান আছে এবং ইংরেজিতে লেখালেখি করতে পারেন তারা এই পেশাকে বেছে নিতে পারেন অনায়াশেই। অনলাইন মার্কেটপ্লেস ওডেস্ক.কম বা ফ্রিল্যান্সার.কমসহ জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেসে প্রতি মুহূর্তে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বিষয়ক শত শত প্রজেক্ট জমা হয়। বাংলাদেশি শত শত ফ্রিল্যান্সার এসব কাজ করে শত থেকে হাজার হাজার ডলার আয় করে থাকেন। অল্প সময়ে কাজ করে প্রচুর টাকা আয়ের অন্যতম উপায় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। আপনি যদি নিজের সাইটের জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করেন তাহলে এর মাধ্যমে অধিক পরিমানে ভিজিটর পাবেন। যেহেতু ভিজিটর = টাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেহেতু যতো ভিজিটর আসবে আপনার ব্যবাসয়িক লাভ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। অধিক ভিজিটরের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি, অ্যাফিলিয়েট বা অ্যাডসেন্স থেকে আয়ের সুযোগ থাকে। এছাড়া ঘরে বসে রিলাক্স মোডে কাজ করা ও তার মাধ্যমে আয় করার এটাই সুযোগ। শুধু মার্কেটপ্লেস নয় লোকাল মার্কেট থেকে প্রতিনিয়ত কাজ পাওয়ার বহু সম্ভাবনা রয়েছে এসইও এর ক্ষেত্রে।

যাদের জন্য উপযোগি

বড় বড় ডিগ্রি নিয়ে অনেকেই বসে আছেন কাজের সন্ধানে, একটি চাকরির জন্য। তবে তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ঠ কাজ জানলে বসে থাকার কোনো কারণ নেই। আপনি যাই পারেন না কেনো, তাই অনলাইনে  করতে পারেন। সে সুযোগ রয়েছে। তবে যাদের কম্পিউটার সম্পর্কে সাধারণ ধারণা আছে, ইংরেজিতে মোটামুটি পারদর্শী, ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তারা অতি সহজে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখতে পারেন এবং এটিকে পেশা হিসেবে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে কোনো প্রোগ্রামিং ভাষা জানার তেমন দরকার নেই। অনপেজ অপটিমাইজেশনের জন্য নূণ্যতম কোডিং জ্ঞান থাকলেই হবে, যেটি আপনি প্রশিক্ষণ  বা অনলাইনের বিভিন্ন রিসোর্স থেকে জেনে নিতে বা শিখে নিতে পারবেন। তাই এই কাজ অতি সহজে রপ্ত করে দ্রুত কাজ শুরু করা যায়। প্রতিনিয়ত যেহেতু হাজার হাজার ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে তার জন্য এসইও করার প্রয়োজন হয়। এজন্য আগামীতেও এসইও কাজের প্রভাব থাকবে। অর্থ্যাৎ এসইও শিখলে আপনাকে  বসে থাকতে বা বেকার থাকতে হবে না। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এই কাজে নিয়োজিত আছেন লাখ লাখ মানুষ। তবে এই নূণ্যতম দক্ষতার পাশাপাশি আপনাকে কাজ শেখার, পরিশ্রম করার ও প্রচুর ধৈর্য থাকতে হবে।

কাজের ক্ষেত্র ও আয়

দক্ষ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার হতে পারবে কাজের ক্ষেত্রের অভাব নেই। প্রাথমিকভাবে একজন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার ওডেস্ক.কম, ফ্রিল্যান্সার.ডট, গুরু.ক, ইল্যান্স.ডটকম সহ অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ শুরু করতে পারেন। এসব সাইটে প্রতিমুহুর্তে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের অসংখ্য কাজ যোগ হচ্ছে। ওডেস্ক.কম সাইটে দেখা গেছে প্রায় সবসময়ই সাইটটিতে ৭/৮ হাজারের অধিক সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ রয়েছে। ফ্রিল্যান্সার.কম সাইটিতেও দুই হাজারের অধিক প্রজেক্ট রয়েছে। এগুলো ঘন্টাচুক্তিতে বা ফিক্সড প্রাইসে করা যায়।  এছাড়া সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারকে সম্ভব হলে লোকাল মার্কেটের কিছু কাজ করে নিজস্ব ব্র্যান্ডিং ভ্যালু বাড়ানো উচিত। এতে জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে কাজ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা থাকে। এছাড়া প্রথমদিকের কাজগুলো ভালোভাবে সম্পন্ন করে রেপুটেশন ভালো করতে পারলে বায়ার খুশি হবে। এরপর তারা প্রয়োজনে আপনাকেই খুঁজে কাজ দেবে। মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ করতে পারলে আপনার আয়ের পরিমানও বাড়তে পারে। তাই যথাসম্ভভ ভালোভাবে কাজ করা উচিত।
আর হ্যাঁ, কাজ জানলে যেহেতু কাজের অভাব নেই তাই এই পেশায় চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজন শুধু নিজেকে আপডেট রাখা। অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে সাধারণত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের যে কাজগুলো পাওয়া যায় তার মধ্যে কোনো সাইটকে গুগলের ১ নম্বর র‌্যাংকিং এ আনা, ফোরাম পোস্টিং, লিংক বিল্ডিং, সাইটের অনপেজ অপটিমাইজেশন, বুকমার্কিং সহ বিভিন্ন কাজ। একটি সাইটকে গুগলের প্রথম পেজে আনতে সাইটের কিওয়ার্ডের উপর নির্ভর করে সাধারণত ২০০ থেকে ১০০০ হাজার ডলার পর্যন্ত পাওয়া যায়। এছাড়া অন্যান্য কাজগুলো করে ঘন্টায় নূর্ণতম ২ ডলার থেকে শুরু করে ২০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে। এছাড়া ফিক্সড প্রাইসে ফোরাম পোস্টিং, লিংক বিল্ডিং, ব্যাক লিংক বা বুকমার্কি করে ১০ ডলার থেকে শুরু করে ২০০ ডলার পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে। তবে এখানে মূলত আপনার কত সময় লাগবে এবং কোন কিওয়ার্ডের উপর কাজ করতে হবে সেটির উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণত একজন দক্ষ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজের মাসে অনায়াসেই ২০/৩০ হাজার থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারেন।

প্রয়োজনে নিতে হবে প্রশিক্ষণ

ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে এসইও’র সঙ্গে আয়ের একটি বিশাল ক্ষেত্র জড়িত। যথাযোগ্য যোগ্যতা থাকলে সফল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার হওয়ার সোপানে পা বাড়াতে পারেন। তবে পেশা হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে বেছে নিলে অবশ্যই এই ক্ষেত্রে ভালোভাবে দক্ষ হতে হবে। ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে হাতে-কলমে শিখতে হবে। সবথেকে বড় কথা হলো কোনো কাজ ভালোভাবে না শিখে কাজ করতে মাঠে নেমে যাওয়া উচিত নয়। তাহলে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আপনি যদি মার্কেটপ্লেসে  কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আগে যোগ্য হতে হবে। অযথা কোনো কাজে বিড করলে আপনার রেপুটেশন খারাপ  হয়ে যাবে। আর একবার রেপুটেশন খারাপ হয়ে গেলে আপনি যতই ভালো কাজ জানেন না কেনো কাজ পেতে কঠিন হয়ে যাবে। আর যদি ভালোভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখে কাজ করতে নামেন, তাহলে সহজেই সফলতার মুখ দেখতে পাবেন। আপনার রেপুটেশন ভালো হয়ে গেলে আপনি আন্তর্জাতিক ও লোকাল মার্কেটের রেগুলার ক্লায়েন্ট পেয়ে যেতে পারেন, যারা আপনাকে মার্কেটপ্লেসের বাইরের খুঁজে খুঁজে কাজ দেবে। তাই আবারো বলতে হয়, আগে কাজ শিখুন তারপর মাঠে নামুন। আর আপনি কাজ জানলে আয় হবেই। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি  প্রতিষ্ঠান সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে।

এরমধ্যে অন্যতম হলো সম্প্রতি অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার.কম আয়োজিত কন্টেন্ট রাইটিং ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বিষয়ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়া বাংলাদেশি সফটওয়্যার ও ওয়েব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ডেভসটিম লিমিটেড । ডেভসটিম লিমিটেডের সহযোগি প্রতিষ্টান ডেভসটিম ইনস্টিটিউট এই প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এখানে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে সফল আউটসোর্সারদের তত্ত্বাবধানে, প্রজেক্টভিত্তিক ও বাস্তবনির্ভর কাজ শেখানোসহ ইন্টার্নির সুযোগ রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক [বিডিওএসএন], ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটিসহ আরো কিছু প্রতিষ্টান রয়েছে যারা এই বিষয়ে সেমিনার ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকে। তবে প্রশিক্ষণ নেওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই প্রতিষ্টানটির মান বিবেচনা করতে হবে। আর একটি কথা না বললেই নয়! আপনি যেকোনো বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ার আগে অবশ্যই সে বিষয়টি সম্পর্কে বেসিক জেনে নিবেন। তাহলে প্রশিক্ষণের সময় বুঝতে সহজ হবে।